প্রিয় বন্ধুরা,
আশা করছি সকলে ভালো আছেন। টেক টুইটে এটা আমার প্রথম লেখা। আপনাদের প্রেরনা, এবং কিছু মন্তব্য আমার লেখাকে আরো ভালো করতে সাহায্য করবে বলে আশা করছি।
মোটরের নাম আমরা সবাই কম-বেশি শুনেছি। অনেকেই পাঠ্য-পুস্তকে মোটর সম্বন্ধে পড়েছি। আজ আমি আপনাদের সাথে সহজ ভাষায় মোটর নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি।
মোটর কিঃ সাধারণ কথায় যা দিয়ে আমরা বাসাবাড়িতে পানি তুলি, তাকেই মোটর বলে ডাকি (ক্ষেত্র বিশেষে পাম্প ও বলে)। হ্যাঁ, অনেকটা এরকমই। কিন্তু কিসের জন্য আমরা একই জিনিস কে দুইটি ভিন্ন নামে ডাকি? যেমন একটা জেনারেটর আর আরেকটা মোটর?
একে আমরা এ জন্যই মোটর বলে ডাকি কারণ এই যন্ত্রটি ইলেকট্রিক শক্তি কে মেকানিক্যাল শক্তিতে পরিণত করে। অর্থাৎ আমরা একে চালাতে ইনপুট হিসেবে দিচ্ছি বৈদ্যুতিক শক্তি আর আউটপুটে আমরা এর দ্বারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করিয়ে নিতে পারছি।
অর্থাৎ, মেশিনের যে দুটি ভাগের কথা বলেছিলাম একটি মোটর আর আরেকটি জেনারেটর, সেই দুটির মধ্যে এটিই হল মোটর, যা কিনা ইলেকট্রিক্যাল শক্তিকে মেকানিক্যাল শক্তিতে পরিণত করতে পারে এবং আমাদের দৈনন্দিন কাজ সম্পাদনে সাহায্য করে।
মোটরের প্রকারভেদঃ প্রধানত মোটরকে ২ ভাগে ভাগ করা হয়, যথাঃ ১) এসি মোটর ২) ডিসি মোটর ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ আগ্রহীদের জন্য মোটর সম্পর্কে জানা খুবই প্রয়োজন। বিশেষ করে যাদের রোবট ও রোবোটিক্স এর উপর কাজ করার ইচ্ছা। কারণ রোবটের মুভমেন্ট কন্ট্রোলিং এরজন্য ভিন্নভিন্ন মোটর ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে। নামেই পরিচয় বিধায় এসি মোটর আর ডিসি মোটর এর ব্যাখ্যায় গেলাম না। এছাড়াও ইন্ডাকশন মোটর, সিনক্রোনাস মোটর প্রভৃতি বিভিন্ন ভাগে ভাগকরা যায়, তবে তা নিয়ে আজ লিখবো না। সামনে কোনো এক লেখায় ইন্ডাকশন মোটর, সিনক্রোনাস মোটর সহ আরো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলবো।
আজ এই পর্যন্ত। আমার পরবর্তি লেখায় মোটরের গঠন, টর্ক ইত্যাদি বিষয় নিয়ে লিখতে চেষ্টা করবো। আপনার মূল্যবান মন্তব্য আমাকে লিখতে অনেক অনুপ্রেরণা দিবে। ধন্যবাদ।