Quantcast
Channel: টেকটুইটস
Viewing all articles
Browse latest Browse all 3243

যন্ত্রনাদায়ক একটি রোগের নাম:পাইলস্ অপারেশনে কোলন ক্যানসারের সম্ভাবনা।

$
0
0

পাইলস কি ?
পাইলস বা অর্শ হলো মলদ্বারে এক ধরনের রোগ যেখানে রক্তনালীগুলো বড় হয়ে গিয়ে ভাসকুলার কুশন তৈরি করে। এটি অস্বস্তিকর এবং অসহনীয় একটি সমস্যা।

শিশুসহ যে কোন বয়সের লোকই এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এটি মলদ্বারের ভেতরে কিংবা বাইরেও হতে পারে। পাইলস হলে চুলকানি বা রক্তক্ষরণ হয়। লজ্জায় অনেকে বিষয়টিকে দীর্ঘদিন গোপন করে রাখে। ফলে ভুল চিকিৎসার শিকার হন যা স্থায়ী সমস্যা সৃষ্টি করে।
পাইলস কেন হয়:

এর সঠিক কারণ জানা না গেলেও নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ অর্শ হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখেঃ

১. দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া

২. শাকসবজি ও অন্যান্য আঁশযুক্ত খাবার এবং পানি কম খাওয়া

৩. শরীরের অতিরিক্ত ওজন

৪. গর্ভাবস্থা

৫. লিভার সিরোসিস

৬. মল ত্যাগে বেশী চাপ দেয়া

৭. অতিরিক্ত মাত্রায় লেকজেটিভ (মল নরমকারক ওষুধ)ব্যবহার করা বা এনেমা (শক্ত মল বের করার জন্য বিশেষ তরল মিশ্রণ ব্যবহার করা) গ্রহণ করা

৮. টয়লেটে বেশী সময় ব্যয় করা

৯. বৃদ্ধ বয়স

১০. পরিবারে কারও পাইলস থাকা

১১. গর্ভাবস্থার শেষের দিকে অনেকের পাইলস রোগটি দেখা দেয়। শিশুর গ্রোথের সঙ্গে মলদ্বারে চাপ পড়লে নারীর পাইলস হতে পারে।

১২. ফ্যাটি ও হাই প্লোটিনযুক্ত খাবার যেমন : গরুর মাংস, চিজ, মাখন, ফ্রাইড, চকোলেট, আইসক্রিম, কোমল পানীয় ইত্যাদি বেশি খেলে পাইলস হতে পারে।

১৩. ভার উত্তোলন, দীর্ঘ সময় বসে থাকা ইত্যাদি।

পাইলসের লক্ষণসমূহ:

i) মলদ্বারের অভ্যন্তরে হলে নিচের লক্ষণগুলো দেখা যেতে পারেঃ
১. পায়খানার সময় ব্যথাহীন রক্তপাত হওয়া

২. মলদ্বারের ফোলা বাইরে বের হয়ে আসতে পারে, নাও পারে। যদি বের হয় তবে তা নিজেই ভেতরে চলে যায় অথবা হাত দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়া যায়। কখনও কখনও এমনও হতে পারে যে, বাইরে বের হওয়ার পর তা আর ভেতরে প্রবেশ করানো যায় না বা ভেতরে প্রবেশ করানো গেলেও তা আবার বের হয়ে আসে।

৩. মলদ্বারে জ্বালাপোড়া, যন্ত্রণা বা চুলকানি হওয়া।

৪. কোন কোন ক্ষেত্রে মলদ্বারে ব্যথাও হতে পারে।

ii) মলদ্বারের বাইরে হলে নিচের লক্ষণগুলো দেখা যেতে পারেঃ

১. মলদ্বারের বাইরে ফুলে যাওয়া যা হাত দিয়ে স্পর্শ ও অনুভব করা যায়।

২. কখনও কখনও রক্তপাত বা মলদ্বারে ব্যথাও হতে পারে।

পাইলস রোগে করণীয়: প্রচলিত চিকিৎসা ব্যাবস্থায় ডাক্তাররা পাইলস্ হলে বেশীরভাগ সময় অপারেশন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। মলদ্বার একটি সেনসেটিভ জায়গা যা সব সময় ভিজা থাকে। অপারেশন করলে তা সহজে শুকায় না বা শুকাতে দেরী হয়। আপনাকে অবশ্যই ২৪ ঘন্টায় একবার মল ত্যাগ করতে হবে। মলত্যাগের পর ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া অপারেশনের জায়গায় ইনফেকশন ছড়াতে পারে। যদি ইনফেকশন হয়ে যায় তা হলে কোলন ক্যান্সার নিশ্চিত। আমাদের দেশের জনপ্রিয় লেখক কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। কোলন ক্যান্সার হলে মৃত্যু নিশ্চিত। সুতরাং পাইলসের চিকিৎসায় কোন ভাবেই অপারেশন করার যাবে না। বর্তমানে প্রচলিত এলোপ্যাথ ঔষধ সমুহ সাময়িক ব্যাথা উপশমের কাজ করে, কিন্তু স্থায়ী ভাবে পাইলস থেকে মুক্তির কোন সমাধান দিতে পারে না।

পাইলস রোগের চিকিৎসা: পাইলস রোগের চমৎকার একটি আয়ুর্বেদীয় চিকিৎসা ব্যাবস্থা বিশ্বে চালু আছে।একটি মালেশিয়ান আয়ুর্বেদীয় ঔষধ(কে-রইডজ্) কোম্পানী বিগত ১৯ বৎসর যাবৎ তাদের ঔষধটি সারা বিশ্বে বাজারজাত করন করে আসছে। মাত্র তিন মাস সেবনে আপনি পাইলস থেকে পাবেন চির মুক্তি।এ ঔষধটি এখন বাংলাদেশেও পাওয়া যাচ্ছে। আপনি যদি পাইলসে অাক্রান্ত হয়ে থাকেন এবং সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে পাইলস হতে চিরমুক্তি পেতে চান, তাহলে নীম্নলিখিত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করুন:

0 1 8 3 1 5 2 2 0 1 5


Viewing all articles
Browse latest Browse all 3243

Trending Articles