গুগল নিয়ে আসছে তাদের নতুন মিউজিক স্ট্রিমিং সার্ভিস ইউটিউব মিউজিক যা স্পটিফাই, টাইডাল কিংবা অ্যাপল মিউজিক এর মত সার্ভিসগুলোর সাথে লড়বে। বর্তমানে গুগলের অডিও মিউজিক স্ট্রিমিং সার্ভিস গুগল প্লে মিউজিকের স্থান দখল করবে এটি।
ইউটিউব মিউজিকে গ্রাহকরা অরিজিনাল গান, কাভার, লাইভ পারফর্মেন্স সহ আরো অনেক এক্সক্লুসিভ ভিডিও কন্টেন্ট পাবেন যা অন্য কোন সাইটে পাওয়া যাবে না।
গুগলের প্লে মিউজিক সার্ভিসও এর সাথে মার্জ করা হবে যার ফলে ভিডিওর পাশাপাশি অডিও কন্টেন্টও উপভোগ করা যাবে। সেই সাথে বর্তমানে যারা প্লে মিউজিক সেবা গ্রহণ করছেন তাদেরকে ইউটিউব মিউজিক প্রিমিয়াম একাউন্ট দেয়া হবে।
ইউটিউবের প্রিমিয়াম স্ট্রিমিং সার্ভিস ইউটিউব রেড এর নাম পরিবর্তন করে ইউটিউব প্রিমিয়াম রাখা হবে। নতুন সাবস্ক্রাইবারদের জন্য ইউটিউব প্রিমিয়ামের দাম হবে ১১.৯৯ ডলার, আর যারা বর্তমান গ্রাহক, তারা মাসে ৯.৯৯ ডলার ফির বিনিময়ে ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারবেন। উভয় ধরনের গ্রাহকই ইউটিউব মিউজিক এক্সেস পাবেন।
গুগল তাদের অ্যাসিস্ট্যান্ট ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে ইউটিউব মিউজিক (https://music.youtube.com) গ্রাহকদের অভ্যাস ও লোকেশন অনুযায়ী মিউজিক রিকমেন্ড করতে পারবে। এটাকে গুগল বলছে “ডিপলি পারসনালাইজড এক্সপেরিয়েন্স”। ইউটিউব রেড এর মতো নতুন ইউটিউব মিউজিকের প্রিমিয়াম গ্রাহকরা চাইলে ব্যাকগ্রাউন্ডে মিউজিক বা ভিডিও প্লে করতে পারবেন। সাধারণ ইউটিউব অ্যাপে এই ফিচারটি ব্লক করা কারণ ফ্রি ইউটিউব গ্রাহকদেরকে অ্যাড দেখিয়ে গুগল অর্থ আয় করে থাকে।
বর্তমানে ভিডিও স্ট্রিমিং ইন্ডাস্ট্রিতে ইউটিউব এর সমকক্ষ কেউ নেই। তেমনি অডিও মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে স্পটিফাইও অপ্রতিদ্বন্দ্বী। এছাড়া অ্যাপল এর মিউজিক সার্ভিস ও তাদের ইকোসিস্টেমও গ্রাহকদের ভালো প্রশংসা কুড়িয়েছে। আবার এশিয়ার কিছু উন্নয়নশীল দেশে গ্রাহকদের একটা বড় অংশই ইউটিউবে শুধুমাত্র ফ্রি মিউজিক স্ট্রিম করতে প্রবেশ করে। তাই মিউজিকের এই বড় বাজারটিকে ধরতে এবং গ্রাহকদেরকে আরো পারসনালাইজড এক্সপেরিয়েন্স দিতেই ইউটিউব তাদের নতুন এই স্ট্রিমিং সেবা চালু করছে।
প্রাথমিকভাবে ইউটিউব মিউজিক যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও সাউথ কোরিয়াতে লঞ্চ হবে। পরে আস্তে আস্তে আরও অনেক দেশে এই সার্ভিস পাওয়া যাবে। ইউটিউব মিউজিক চালু হবে ২২ মে ২০১৮ থেকে।