লো-বাজেট মোবাইল মানেই ওয়ালটন। ১০ হাজার টাকার নিচে যদি আপনাকে ভালা কোয়ালিটির এবং ভালো কনফিগারেশনের স্মার্টফোন খুজতে বলা হয় তো ওয়ালটন ছাড়া অন্য কোন স্মার্টফোন আপনার চোখে পরবেনা। Primo H7s এর কথাই ধরুন না। ৪জি সাপোর্টেড Primo H7s এর উল্লেখযোগ্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে ১.৩ গিগাহার্টজ প্রোসেসর, ২ জিবি র্যাম, ১৬ জিবি রম, ফুল ভিউ ডিসপ্লে সহ আরো অনেক কিছু।
আর দাম? সেটাও হাতের নাগালে। মাত্র ৯,১৯৯ টাকা।
আমি আমার রিভিউ এ Primo H7s এর ভালো/খারাপ বিষয় গুলো তুলে ধরবো। ততক্ষন আমার সাথেই থাকুন।
প্রথমেই জেনে নেবো Primo H7s এর উল্ল্যেখযোগ্য ফিচার সমূহ
ডিভাইসের নাম | Primo H7s |
ডিসপ্লে: | 5.45″ FULL View IPS Display |
প্রোটেকশন | 2.5D Curved Glass |
র্যাম | ২ জিবি |
রম | ১৬ জিবি ( ৬৪ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যাবে) |
সি.পি.ইউ | ১.৩ গিগাহার্টজ কোয়াডকোর প্রোসেসর |
জি.পি.ইউ | PowerVR Rogue8100 |
ক্যামেরা | রিয়্যার ১৩ মেগাপিক্সেল |
ফ্রন্ট ৫ মেগাপিক্সেল | |
ব্যাটারি | ৩০০০ মিলি এ্যম্পিয়ার |
দাম | ৯,১৯৯ টাকা। |
আনবক্সিং
Primo H7s এর সাথে আপনারা পাচ্ছেন
** একটি Standard Ear phone
** ইউ এস বি চার্জার উইথ ডাটা কেবল
** ইউজার ম্যানুয়াল/ সেইফটি ইন্সট্রাকশন
** ব্যাক কভার
** বিল্ট ইন স্ক্রিন প্রোটেক্টর
** সিম ইজেক্টর
Primo H7s এর ভালা লাগা ফিচার গুলো
** ৪জি সাপোর্টেড
** AOD (Always on Display)
** ফিংগার প্রিন্ট সেন্সর
** Android Oreo 8.1** 18:9 Ful View Display
** Multi Window/ Split Screen
ডিসপ্লে এবং টাচ
Primo H7s এ ব্যবহার করা হয়েছে রয়েছে ২০১৮ সালের ট্রেন্ড 18:9 Ratio যুক্ত 5.45” 2.5D Full View IPS HD+ Display. ডিসপ্লেতে রেজুল্যুশন রয়েছে 1440x 720 পিক্সেল।
ডিসপ্লেতে কালার সাপোর্ট করে ২৬ মিলিয়ন। এ্যমোলেড ডিসপ্লে না হলেও Primo H7s এর ডিসপ্লে’র কালার Vivid & Lively. টাচ রেছপঞ্ছও দারুন এবং ল্যাগ ফ্রি। ডিসপ্লেতে ৫ আংগুল পর্যন্ত মাল্টি টাচ সাপোর্ট করে।
র্যাম এবং রম
Primo H7s এ ব্যবহার করা হয়েছে ২ জিবি DDR3 র্যাম এবং ১৬ জিবি ইন্টারনাল মেমোরী। ইন্টারনাল মেমেরাী ৬৪ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যাবে।
সি.পি.ইউ / জি.পি.ইউ
Primo H7s এ রয়েছে ১.৩ গিগাহার্টজ কোয়াডকোর প্রোসেসর এবং PowerVR Rogue 8100 জি.পি.ইউ।
গেমিং পারফরমেন্স
Primo H7sএর গেমিং পারফরমেন্স নিয়ে সন্তুষ্ট। ফুল ভিউ ডিসপ্লে’র জন্য গেমিং এক্সপিরিয়েন্স এমনিতেই অনেক বেড়ে গেছ। এসফাল্ট ৮, ফিফা ১৪,১৫, এসফাল্ট নাইট্রা এই গেমস গুলো ইজিলি রান করতে পেরেছি।
আউটলুক
মেটালিক ফ্রেমের Primo H7s এর লুক অনেকটা আইফোন ৭ এর মত। মেটালিক বডির Primo H7s এর ফ্রন্ট প্যানেলে রয়েছে ৫.৪৫” ডিসপ্লে। ডিভাইসটির ফ্রন্ট প্যানেলে উপরের অংশে রয়েছে ফ্ল্যাশ লাইট সহ ৫ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা।
ডিভাইসটির পেছনে রয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। ক্যামেরা পজিশনিং আইফোন ৭ এর সাথে বেশ মিল রয়েছে। ফিংগার প্রিন্ট সেন্সর রয়েছে ক্যামেরার নিচের দিকে, মাঝখান বরাবর।
Primo H7s এর উপরের দিকে রয়েছে ৩.৫ মিলিমিটার অডিও পোর্ট, মাইক্রো ইউ.এস.বি চার্জিং পোর্ট রয়েছে ডিভাইসের নিচের দিকে। ভলিউম রকার্স এবং পাওয়ার বাটন রয়েছে ডিভাইসের উপরের দিকে ডান পাশে। সিম কার্ড ট্রে রয়েছে ডিভাইসের বাম পাশে উপরের দিকে। ডিভাইসটি-তে রয়েছে নন রিমুভেবল ৩০০০ মিলি এ্যম্পিয়ার লি-পলিমার ব্যাটারি। ডিভাইসটির দৈর্ঘ্য ১৪৭.৫ মিলিমিটার, প্রস্থ্য ৬৯.৯ মিলিমিটার এবং পূরুত্ব ৮.৩ মিলিমিটার। আর ডিভাইসটির ওজন ১৬৭ গ্রাম মাত্র।
ইউজার ইন্টারফেস
Primo H7s এ ইউজ করা হয়েছে ষ্টক এ্যন্ড্রয়েড ৮.১ এর ইউজার ইন্টারফেস। ইউজার ইন্টারফেস বেশ কাষ্টমাইজড।
অপারেটিং সিস্টেম
Primo H7s এ ইউজ করা হয়েছে লেটেস্ট Android 8.1 Oreo.
ক্যামেরা
এন্ট্রিলেভেলের স্মার্টফোন হলেও Primo H7s এর ক্যামেরা কোয়ালিটি সমসাময়ীক বাজেটে বেশ কম্পিটিটিভ। ডিভাইসটির রিয়্যার প্যানেলে রয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা উইথ ফ্ল্যাশ লাইট। সেলফি তোলার জন্য রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা।
কানেক্টিভিটি এবং সেন্সর
Primo H7s এ যে সকল সেন্সর রয়েছে তা হলো: Accelerometer (3D), Proximity, GPS ইত্যাদি।
Primo H7s এ যে সকল কানেক্টিভিটি রয়েছে: WI-FI, Bluetooth V4, Micro USB 2.0, OTG, OTA, WLAN Hotspot ইত্যাদি।
স্পেশাল ফিচার
** Radio with recording system.
এই ফিচারটি কিন্তু বেশ ইফেক্টিভ। বিশেষ করে যারা গান শুনতে ভালোবাসেন। পছন্দের গান প্লে-ব্যাক শুরু হলেই রেকর্ডিং করতে পারবেন।
** ফেস আনলক:
ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সরের পাশাপাশি ফেস আনলকও কিন্তু এখন বেশ জনপ্রিয়।
** Smart gesture
ফোন অফ থাকা অবস্থায় ডিসপ্লেতে বিভিন্ন Lettering Sign এর মাধ্যমে বিভিন্ন এ্যপস রান করা যায়।
বেঞ্চমার্ক স্কোর
Primo H7s এ আমরা গিকবেঞ্চ টেষ্ট করেছি। দাম অনুসারে বেঞ্চমার্ক স্কোর কিন্তু বেশ ভালই।
দাম
Primo H7s এর বাজার মূল্য রাখা হয়েছে ৯,১৯৯ টাকা।