প্রাণী হিসেবে মানুষের মধ্যেও যেমন বৈচিত্র্যতা আছে, ঠিক তেমনি বিড়ালের মধ্যেও রয়েছে। একেকটা বিড়াল একেক স্বভাবের। বিড়াল সম্পর্কে কিছু তথ্য রয়েছে, যেগুলো অনেকে জানেন এবং অনেকে জানেন না। তাহলে যারা জানেন না, তাদের জনেই এই আর্টিকেলটি।
কখনো কি শুনেছেন বা ভেবেছেন যে, বিড়াল মানুষের রক্তচাপ কমায়? হ্যাঁ, এটা সত্যি। এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। বিড়ালকে কোলে নিয়ে আদর করলে বিড়াল যেভাবে ঘরঘর করে আওয়াজ করে, তাতে নাকি মানুষের রক্তচাপ কমে।
বিড়াল খুব অল্প আলোতেই সবকিছু দেখতে পায়। অন্ধকারে মানুষ কিছুই দেখতে পায়না। কিংবা, বাসায় ডিম লাইট জালালেও কোন কিছু বুঝা অনেক কষ্টকর। কিন্তু বিড়াল, এই আলোতেই অনেক কিছু দেখতে পায়।
বিড়াল গোঁফ দিয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যেটি অনেক মজার। খুব ছোট গর্ত দিয়ে যাওয়ার সময় বিড়াল গোঁফ দিয়েই সেটা মেপে নেই এবং যাওয়ার চেষ্টা করে।
বিড়ালের খাবারের স্বাদ পরীক্ষা করার সিস্টেম আলাদা। মানুষ খাবারের স্বাদ গ্রহণ করে জিভের মাধ্যমে, আর বিড়াল স্বাদ গ্রহণ করে নাকের মাধ্যমে।
আপনার আশে পাশে যারা বিড়াল পোষেন, তাদের কাছ থেকে শুনে থাকবেন যে, তাদের বিড়ালের নাক নাকি অন্য এক বাসার বিড়ালের মত। কিন্তু এটা শুনে আশ্চর্য হবেন যে, প্রত্যেকটা বিড়ালের নাক ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। কখনোই হুবুহু মিলে যাবেনা, কিছু না কিছু পার্থক্য থেকেই যাবে।
এইটা জেনে আরও মজা পাবেন যে, পৃথিবীর সব প্রাণীর চেয়ে শরীরের অনুপাত বিবেচনা করলে দেখা যাবে যে, বিড়ালের চোখই সবথেকে বড়। অন্যান্য বিশাল আকারের প্রাণীর সাথে তুলনা করলে দেখতে পাবেন যে, শরীরের অনুপাতের তুলনায়, তাদের চোক ছোট।
একেক জায়গার বিড়ালের ডাক একেক রকম। জায়গা অনুযায়ী তাদের ডাক কোথাও কোথাও মিউ, কোথাও কোথাও মেও, কোথাও মাও, কোথাও মিয়ো ইত্যাদি।
সবশেষে অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে বিড়াল ভালমত খাবার শুঁকে এরপর খায়। বিড়াল পুষ্টিকর খাবার পছন্দ করে। তাই, বিড়াল পোষেন, তারা অনলাইনের মাধ্যমে খাবার অর্ডার করতে পারবেন খুব সহজেই।