বাচ্চা জন্মের পর থেকেই তার ত্বকের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। কারণ, বাচ্চার ত্বক অনেক নরম ও সংবেদনশীল হয়ে থাকে। আর এ কারণে, ব্যখেয়াল বশত বাচ্চার ত্বকে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। এবং জন্মের পর বাচ্চার ত্বকে কিছু কিছু দাগ-এর সৃষ্টি হয়ে, জেটার কারণে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে এগুলো মারাত্মক কোন সমস্যা না হলেও, বাচ্চার জন্যে এটি অনেক অস্বস্তিকর। তাই, পিতামাতার উচিৎ, এইসব সমস্যা সমাধানের যথার্থ পথ বেছে নেওয়া।
জন্মের পর বাচ্চার ত্বকে এক ধরণের পিম্পল দেখা দেয়, যে কারণে পিতামাতা অনেক চিন্তিত থাকেন। এগুলো একেবারে হুবুহু পিম্পলের মতই দেখায়। তবে চিন্তার কারণ নেই। মায়ের রক্তে হরমোনের প্রভাবে এটি ঘটে থাকে। এটি খুবই স্বাভাবিক। এটি নিয়ে বেশি চিন্তিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। কয়েক দিনের মধ্যেই এটি ভাল হয়ে যায়। তবে, কয়েকদিন পরেও এটি না কমে, তাহলে অবশ্যই বাচ্চাকে শিশু ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন।
ডায়াপার র্যাশ নিয়ে সবাই বেশ পরিচিত। ডায়াপার ব্যবহার নিয়ে সঠিক ধারণা না থাকার কারণে এই সমস্যা হয়ে থাকে। লম্বা সময় ধরে ডায়াপার পরিয়ে রাখলে বাচ্চার তলদেশে র্যাশ-এর সৃষ্টি হয়। তাছাড়া নিম্নমানের ডায়াপার ব্যবহারের ফলেও হয়ে থাকে। তাই, তিন থেকে চার ঘণ্টা পরপর ডায়াপার পরিবর্তন করা প্রয়োজন। এবং উন্নতমানের ডায়াপার ব্যবহারের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। ডায়াপার কিনুন এই লিঙ্কে গিয়ে।
জন্মের পর প্রত্যেক বাচ্চার ত্বকেই এক ধরণের দাগের সৃষ্টি হয়। এটি বাচ্চার ত্বকে কয়েক মাস ধরে থাকে, তবে কারও কারও আজীবন থেকে যায়। এটি নিয়ে বিচলিত হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। তবে, নিশ্চিত হওয়ার জন্যে শিশু ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।
অতিরিক্ত শুষ্কতার কারণে বাচ্চার ত্বকে পিঁয়াজের খোসার মত এক ধরণের খোসা উঠে, যেটি পিলিং নামে পরিচিত। এটি প্রতিদিন বাচ্চার গোসলের পর বেবি লোশন লাগালেই ভাল হয়ে যায়। তবে এক্ষেত্রেও নিশ্চিত হওয়ার জন্য বাচ্চাকে শিশু ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিৎ।
তাই, বাচ্চার এসব সমস্যা থেকে মুক্ত রাখতে বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন। এবং মনে রাখবেন, যদি এইসব সমস্যা বেশিদিন চলতে থাকে, তাহলে অবশ্যই শিশু ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। কারণ, বাচ্চার সুস্থতাই সবার আগে।