কুকুরের রোগ এমন একটি মারাত্মক রোগ যে, রোগে আক্রান্ত কুকুর যাকেই খামচি মারবে, তার অবস্থা খারাপ করে দিবে। এবং কুকুরের খামচিতে মানুষের হৃদতন্ত এবং রেবিস রোগ হয়ে থাকে। কুকুরের খামচি খেয়ে অনেকেই ডাক্তারের কাছে ছোটাছুটি করেন এই ভেবে যে, জলাতঙ্ক রোগ হয়ে গেলো কিনা? তাই, কুকুরকে সব সময় রোগমুক্ত রাখতে আপনাকেই সচেতন হতে হবে।
যতসম্ভব কুকুরকে আগলে রাখতে চেষ্টা করুণ। যাতে করে আপনার কুকুর বাইরে গিয়ে রোগে আক্রান্ত অন্যকোন কুকুরের সাথে মেলা মেশা না করে। কুকুর বাইরে যাওয়ার একটাই কারণ, তা হচ্ছে, কুকুরকে যথেষ্ট সময় না দেওয়া এবং পরিচর্যা না করে। তাই, কুকুরকে সময় দিন, কুকুরের জন্য খেলনা কিনে দিন, কুকুরের খাবার কিনে রাখুন। সর্বদা চেষ্টা করবেন, আপনার কুকুরের জন্য যেন যথেষ্ট পরিমাণে খাবার থাকে। খাবার না পেলে, কুকুর বাইরে চলে যাবে এটাই স্বাভাবিক।
কুকুরের রেবিস নামে এক ধরণের রোগ হয়ে থাকে। রেবিস রোগে আক্রান্ত কুকুর চিনবেন কিভাবে। যে কুকুরকে আমরা পাগলা কুকুর বলে থাকি, সেই কুকুরগুলোই রেবিস রোগে আক্রান্ত।
এইসব কুকুর মানুষকে কামড়ালে কিংবা ক্ষতস্থানে চেটে দিলেই মানুষ রেবিস রোগে আক্রান্ত হয়ে যাবে। এই রোগ সাধারণত যখন মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পরে, ঠিক তখনই প্রকাশ পায়, এর আগে বোঝা মুশকিল হয়ে যায়।
রেবিস রোগ বোঝার লক্ষণঃ
মাথা ব্যাথা করবে, অবসাদ কিংবা বমি বমি ভাব হবে, ক্ষুধা লাগবেনা, যেখানে কামড়াবে সেখানে ব্যাথা এবং চুলকানো শুরু হবে। এবং পর্যায়ক্রমে আক্রান্ত রোগী ঠাণ্ডা সহ্য করতে পারেনা, তরল জাতীয় কিছু গিলতে পারেনা। দিনে দিনে মানসিক অস্থিরতা দেখা দিবে। এবং ঝিমিয়ে পরবে যখন তখন।
এবং এটি এমন একটি মারাত্মক রোগ যে, এটি প্রকাশ পাওয়ার চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে রোগী তীব্র খিঁচুনি এবং পক্ষাঘাতে মারা যাওয়ার পর্যায়ে চলে যায়, এবং কেউ কেউ মারা যায়। এই রোগ হলে মানুষকে বাঁচানো সম্ভব কিনা সেটা জানা নেই। তবে এক ধরণের টিকা রয়েছে। তাই, কুকুরের খামচি বা কামড় খাওয়ার সাথে সাথেই পশু ডাক্তারের পরামর্শ নিন। যাতে করে এমন মারাত্মক রোগে ভুগতে না হয়।