সোশ্যাল মিডিয়া বর্তমানে আমাদের জীবনকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রযুক্তির কল্যাণে বর্তমানে সবার হাতে হাতে স্মার্টফোন ও উচ্চ গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ থাকায় গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ও বড় পরিবর্তনটা এসেছে সম্ভবত সোশ্যাল মিডিয়া দ্বারা আমাদের বর্তমান জীবনের প্রভাব। বলছি না যে, আপনাকে স্মার্টফোনের ব্যবহার ছেড়ে দিন, ফেসবুক, ইউটিউব থেকে দূরে থাকুন- কিন্তু এই মুহূর্তে যেটা দরকার একটু নিয়ন্ত্রিত উপারে ব্যবহার করা। সতর্ক থাকা- যেন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে গিয়ে আপনি না সোশ্যাল মিডিয়ার খাদ্যে পরিণত হন।
এই বিষয়ে ফেসবুক নিয়ে আমরা একটা ভিডিও দেখে আসল আলোচনায় যেতে পারি:
এখানে তরুণদের বিশেষ অনলাইন ম্যাগাজিন অভিযাত্রী ডট কম অবলম্বনে তরুণ প্রজন্মের উপর প্রযুক্তির ৫টি ভয়াবহ প্রভাবের কথা বলবো-
- সোশ্যাল সাইটগুলো হয়ে উঠছে তরুণদের প্রথম পছন্দ অথচ যা পড়াশুনা, পরিবারের সাথে সময় কাটানো, খেলাধুলা ইত্যাদি না হলে আগামী প্রজন্মের শিক্ষা ও নৈতিক অবক্ষয়ের ব্যাপক ঘাতটি দেখা যাবে।
- তারা এমনসব মানুষকে গুরুত্ব দিচ্ছে যারা আসলে তাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ নয়।
- তারা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে যা, হতাশা ও এমনকি আত্মহত্যা করতে প্রভাবিত করছে।
- ওরা এমনভাবে প্রভাবিত হচ্ছে যে পর্দার সামনে থাকা রঙ্গিন জীবনগুলো দেখে তাকে অনুসরণ করছে, যা কাল্পনিক এবং লোকদেখানো বা মিডিয়া তারা তৈরি ভুল কিছু ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য।
- সোশ্যাল মিডিয়া হল একটা মায়াজালের মতো যা ঘোরের মধ্যে একবার ঢুকে গেলে তাতে আসক্ত হয়ে তরুণ প্রজন্ম এক ভুল পথে পা বাড়ায়।
প্রযুক্তির এবার কিছু অত্যন্ত চমৎকার প্রভাবের কথা বলছি- যা আমদের আশাবাদি করে:
- যত দুরেই থাকুক বন্ধুত্ব চিরকাল ধরে রাখার একটা চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে প্রযুক্তির সোশ্যাল মিডিয়া।
- বিশ্বের নানান প্রান্তে কখন কি ঘটছে তার সাথে নিয়মিত সংযোগ করে দিচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া এবং প্রযুক্তি।
- অপার সম্ভাবনা ও সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে প্রযুক্তি, তরুণরা তাদের প্রতিভা এবং নিজেদের শক্তি, দক্ষতাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার একটা বড় সুযোগ পাচ্ছে যা সাধারণত সম্ভব হতো না।
- বন্ধুদের মধ্যে দেখা বা কাছাকাছি না থাকলেও একটা খুব ভাল সম্পর্ক বজায় রাখার সুযোগ করে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া।
- সামাজিক অন্যায় অবিচারকে সামনে তুলে এনে তরুণরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর একটা প্লাটফর্ম পেয়ে গেছে এর কল্যাণে।
লেখাটি সম্পর্কে আপনাদের মতামত জানাবেন আশা করি। আগামী পর্বে লেখার ইচ্ছা- ব্যর্থতা নিয়ে। মানুষ কেন ব্যর্থ হয়? ব্যর্থতা থেকে উঠে আসার উপায় নিয়ে কথা বলবো পরের পর্বে। ভাল থাকুন।