১ বছর পূর্ণ হবার আগে বাচ্চাকে মিষ্টি জাতীয় খাবার (চিনি, মধু) খাবার না খাওয়াতে বলা হয়ে থাকে। তবে, এটা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত কিংবা কি কারনা খাওয়াতে বারণ করা হয়, সেই সম্পর্কে অনেকের জানা নেই। কেউ কেউ এই কথাটি মেনে চলে মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে যাচ্ছেন, আবার কেউ কেউ বাচ্চাকে কোনরকম পাত্তা না দিয়ে যা পাচ্ছেন তাই খাইয়ে যাচ্ছেন। তবে, মনে রাখবেন, কিছু মারাত্মক সমস্যা কিন্তু দৃষ্টির অগোচরে থেকে যায়। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে বাচ্চার প্রচুর পুষ্টির প্রয়োজন। তাই, বাচ্চাকে পুষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ানো উচিৎ। তবে, যা ইচ্ছা তাই খাওয়ানো ইচ্ছে করেই বাচ্চাকে সমস্যার মুখে ঠেলে দেওয়ার মতোই হয়ে যায়। তাই, মিষ্টি জাতীয় খাবার না খাওয়ানো সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক পাঠক-পাঠিকাদের জন্যে আজকের লেখাটি।
চিনি কেন এড়িয়ে চলবেনঃ
বর্তমানে অনেক বিশেষজ্ঞই চিনিজাত খাবার খাওয়া থেকে বিরত হতে বলছেন। এটা যে শুধুমাত্র বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তা নয়, বড়দের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। বর্তমানে চিনিকে সব থেকে বিষাক্ত খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বাচ্চার জন্যে ক্রয়কৃত যেকোন খাবারেই চিনি মেশানো থাকতে পারে। খাবার প্যাকেটের গায়ে চিনি থাকা সম্পর্কে নাও লেখা থাকতে পারে। তাই, বাচ্চার জন্যে খাবার কেনার সময় অবশ্যই সেই খাবারে চিনি মেশানো আছে কিনা, সেই সম্পর্কে জেনে রাখবেন। জন্মের পর থেকে অবশ্যই চিনি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা ভাল কারণ, এর কারণে মিষ্টিজাতীয় খাবারের প্রতি বাচ্চা বেশি আসক্ত হয়ে যাবে।
মধু কেন এড়িয়ে চলবেনঃ
মধুতে ক্লাস্ট্রিডিয়াম বোটুলিনাম নামক এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া থাকে, যেগুলো বাচ্চার পাকস্থলিতে বিষক্রিয়ার সমস্যা করতে পারে। এবং এই বিষক্রিয়ার সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকার মতো ক্ষমতা ছোট বাচ্চাদের থাকেনা। তাই, বাচ্চাকে যদি মধু খাওয়াতেই চান, তাহলে অবশ্যই বাচ্চার বয়স ১ বছর পূর্ণ হবার পর খাওয়াবেন। কারণ, বয়সে বড় বাচ্চার ক্ষেত্রে এই মধুতে থাকা ব্যাকটেরিয়াটি তেমন কোন ক্ষতিসাধন করতে পারেনা। যেহেতু বড়দের হজম শক্তি অনেক প্রখর।
অতএব, ছোটদের স্বাদ বড়দের মতো হবেনা এটাই স্বাভাবিক। তাই, ঘরে তৈরি করা খাবার কিংবা বাইরে থেকে কেনা খাবার খাওয়ানোর সময় এইসব বিষয় লক্ষ্য রাখবেনা। ঘরে যদি কোন খাবার তৈরি করেই থাকেন, তাহলে খাবারের স্বাদ যেমনই হোক, এই দুটো জিনিস মিশ্রণ করা থেকে দূরে থাকুন।