পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর এবং মিষ্টি শব্দ হচ্ছে ‘মা’ শব্দটা। এবং একটি সন্তানের জন্যে মা একটি জগতের মত। এবং এই মায়ের সাথেই সন্তানের সম্পর্ক হয় খুব মধুর। সন্তানকে না খাইয়ে না দাইয়ে মা কখনই খেতে বসেন না। সন্তান অসুস্থ্য হয়ে পরলে সবার থেকে মায়েরই চিন্তা হয় সবথেকে বেশি। আর সন্তাকে ভালবাসায় আগলে রাখেন মায়েরাই। আর, সন্তানের আবদার বাবার চেয়ে মায়েরাই মেনে নেই। শত কষ্টের মাঝেও সন্তানের এতটুকু কষ্ট পেতে দেন না মা। মায়ের ভালবাসা এবং মমত্ববোধই সন্তানকে যেকোনোকিছু উপার্জন এবং আবিষ্কার করতে সাহায্য করে।
মায়েরাই সন্তানের কথা বুঝতে পারে:
সন্তানের মনের অবস্থা কেউ না বুঝতে পারলেও মা মায়েরা বুঝতে পারে। মায়ের কাছে সন্তান কি লুকোচ্ছে, বা কি বলতে চাচ্ছে, সেটা বলার আগেই মা বুঝে ফেলেন সবকিছু। সন্তানের এই মধুর মা ডাকটা শুনেই সন্তানের সাথে মায়ের এক ওপার বোঝাপড়ার সৃষ্টি হয় এবং সন্তানের জন্যে মায়ের এক অন্যরকমের ভালোবাসা সৃষ্টি হয়।
সন্তানকে উৎসাহ দেওয়া:
‘আমি জিতলে জিতে যায় মা’ এই কথাটা শুনলেই বুঝতে পারছেন, সন্তানের ভালো কোনো উপার্জন মায়ের জন্যে কতটুকু আনন্দের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। সন্তানকে একজন বাবা যত না উৎসাহ দিতে পারে, তার চেয়ে বেশি উৎসাহ দিতে পারেন একজন মা। কি করলে সন্তানের ভালো হবে, কি করলে সন্তান আরও বেশি উৎসাহিত হবে, এইটা নিয়েই মায়েরা বেশি উদ্বেগ থাকেন। মায়েরাই সন্তানদের কোনো কিছু করতে উৎসাহিত করেন।
সন্তানের উপযোগী মা:
এটাই একটিমাত্র মাধ্যম, যার মাধ্যমে মা তার সন্তানকে নিজের মতো করে গড়ে তুলেন। সন্তান জন্ম দেওয়ার পর থেকে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো, গোসল করানো, ডায়াপার পরানো এবং শারীরিক ও মানসিক নানানভাবে সহযোগী হিসেবে কাজ করে থাকেন। এতে করে, খুব ছোট বেলা থেকেই সন্তানের সাথে মায়ের সম্পর্ক হয় আরও বেশি আস্থাশীল এবং ভালবাসাপূর্ণ।