Quantcast
Channel: টেকটুইটস
Viewing all articles
Browse latest Browse all 3243

বাচ্চার ত্বকে র‍্যাশ-এর কারণ এবং তা থেকে উত্তরণের উপায়

$
0
0

সাধারণত ১১-১২ মাস শিশুর ক্ষেত্রে ডায়াপার র‍্যাশ-এর সমস্যা বেশী দেখা দেই। সাধারণ কিছু যত্নের মাধ্যমে শিশুকে ডায়াপার র‍্যাশ বা ফুসকুড়ির হাত থেকে রক্ষা করা যায়। র‍্যাশ বা ফুসকুড়ির অনেকগুলো কারণ রয়েছে। এর অন্যতম কারণ হল অতিরিক্ত আর্দ্রতা। অতিরিক্ত আর্দ্রতা থেকে শিশুকে দূরে রাখতে পারলেই ২০-৩০% শিশুকে র‍্যাশমুক্ত রাখা যায়। টাকার কথা চিন্তা করে অনেকেই শিশুকে কমদামি ডায়াপার পরাচ্ছেন। কমদামি ডায়াপার গুলো সবসময়ই কম শোষণক্ষমতাসম্পন্ন হয়ে থাকে। অধিক শোষণক্ষমতা না থাকার কারণে ত্বকে আর্দ্রতা সৃষ্টি করে, ফলে ভেজা ভেজা ভাব থেকে র‍্যাশ সৃষ্টি হয়ে থাকে।

আরও ভিন্ন কিছু কারণ রয়েছে যেমন বাচ্চাকে গোসল করানো তোয়ালে ভালমত পরিষ্কার না করলে সেটাতে সাবানের গুড়া লেগে থাকে। সেটা বাচ্চার ত্বকের জন্য অনেক ক্ষতিকারক। বাচ্চারা যখন খেলাধুলা করে, তখন ডায়াপার যাতে খুলে না যায়, সেইজন্য শক্ত করে ডায়াপার পরানো হয়ে থাকে যেটা থেকেও র‍্যাশ দেখা দিতে পারে। দীর্ঘ সময় ডায়াপার পরিয়ে রাখলেও এই সমস্যা দেখা দেই।

দিনে অন্তত কয়েকবার ডায়াপার পরিবর্তন করা জরুরী। এতে করে নিতম্ব শুষ্ক থাকবে এবং বাচ্চাও সারাদিন আরামেই থাকবে। যদি সম্ভব হয়, বাসায় থাকা অবস্থায় বাচ্চাকে কিছুক্ষন ডায়াপার ছাড়া রাখুন। নতুন খাবারে অভ্যস্ত হতে শিশুদের একটু সময় লাগে। শিশুরা যখন নতুন খাবার খাওয়া শুরু করে, তখন শিশুদের ত্বকে র‍্যাশ দেখা দিতে পারে।

এই সমস্যা থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হচ্ছেঃ

· অধিক শোষণক্ষমতাসম্পন্ন ডায়াপার ক্রয় করা।

· ৩-৪ ঘণ্টা পরপর ডায়াপার পরিবর্তন করা।

· ডায়াপার পরিবর্তনের সময় ডায়াপার পরিহিত জায়গা হালকা গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করা।

· সঠিক মাপের ডায়াপার বাছাই করা, যাতে করে বেশী টাইট না হয়ে যায়। কারণ, ডায়াপারের সাথে ত্বকের ঘষা লাগার ফলে র‍্যাশ সৃষ্টি হতে পারে।

এমন অনেক সাধারণ তথ্য পিতামাতাদের মাথায় রাখা উচিৎ। এইসব কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা থাকলে আপনিও থাকবেন নিশ্চিন্ত, এবং আপনার বাচ্চাও থাকবে র‍্যাশমুক্ত!


Viewing all articles
Browse latest Browse all 3243

Trending Articles