Quantcast
Viewing all articles
Browse latest Browse all 3243

ক্রিপ্টোকারেন্সী নিয়ে যতকথা #রিভিউ #আর্নিং #টিউটোরিয়াল

“ক্রিপ্টোকারেন্সী” নিয়ে আমার লেখা শুরু হতে যাচ্ছে আজ থেকে!

মোট তিন পর্বের এই বর্ণনার আজকে দ্বিতীয় পর্ব!

সাথে থাকুন! আর জানতে থাকুন “ক্রিপ্টোকারেন্সী” এর চৌদ্দকথা! ♥

Image may be NSFW.
Clik here to view.

আমরা যেমন ইউনিট হিসেবে টাকা এবং পয়সা ব্যবহার করে তেমনি বিটকয়েনের ও ইউনিট রয়েছে। বিটকয়েনের ইউনিট হচ্ছে বিটকয়েন যাকে সংক্ষেপে বিটিসিও বলা হয়। বিটকয়েনের সবচেয়ে ক্ষুদ্র রূপ হচ্ছে সাতোশি। ০.০০০০০০০১ সাতোশিতে এক বিটকয়েন হয়।
বিটকয়েনের আদানপ্রদান ব্যাপারটি কিছুটা জটিল। ধরুন, আপনার কাছে ৫০ টাকা আছে। আপনি আমাকে সেটি দিয়ে দিলেন। তাহলে, এখন থেকে এই ৫০ টাকার মালিক আমি। এই টাকাটি আপনার কাছে আর থাকলোনা। আর এই টাকাটির কোন প্রমাণ না থাকায় আপনি পরবর্তীতে এর মালিকানাও দাবি করতে পারবেন না।
বিটকয়েনে যখন টাকার লেনদেন করা হয় তখন আপনি যে টাকাটি আমাকে দেবেন এর একটি ডাটা ডিজিটালভাবে কম্পিউটারে সংরক্ষিত থাকে। সমস্যাটা এখানেই। কম্পিউটার থেকে যদি কোনভাবে এই ডাটা মুছে যায় সেক্ষেত্রে আমার কাছে আর কোন প্রমাণ থাকবেনা যে টাকাটি আমার। এরকম একটি ঘটনা ঘটেছিল এক ব্যাক্তির ক্ষেত্রে। কোন কারণে তার কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক ফরম্যাট হয়ে যাওয়ার কারণে সে প্রায় ৭৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের বিটকয়েন হারিয়েছিল।
আরও একটি সমস্যা আছে। যেহেতু ডিজিটালভাবে সংরক্ষিত তাই এর অনেক কপিও বানানো সম্ভব। এভাবে একটি বিটকয়েন থেকে দশটি বিটকয়েন করে ফেলাও অসম্ভব কিছু না। এই সমস্যাটি দূর করার জন্য, প্রতিটি বিটকয়েন এই আলাদা আলাদা ক্রিপ্টোগ্রাফি এবং কিছু গাণিতিক সংখ্যা জুড়ে দেওয়া হয়। এই নম্বরগুলোকেই ট্র্যাক করে বোঝা যায় বিটকয়েন কার কাছে আছে। আর যারা এই ট্র্যাকিং এর কাজ করে তাদেরকে বলা হয় বিটকয়েন মাইনার। এজন্য তাদেরকে তাদের শ্রমের পুরষ্কার হিসেবে বিটকয়েন দেয়া হয়।
আমরা টাকা জমা রাখি নির্দিষ্ট কোন একটা জায়গায়। সেটা বাসা বাড়ি বা ব্যাংক ও হতে পারে। সেরকম বিটকয়েন টাও একটি জায়গায় জমা থাকে। আর যেখানে জমা থাকে তাকে বিটকয়েন অ্যাড্রেস বলা হয়। আপনি যাকে বিটকয়েন দেবেন তার বিটকয়েন অ্যাড্রেস টি আপনার জানা থাকতে হবে। তাহলেই আপনি বিটকয়েন আদান প্রদান করতে পারবেন। আবার আপনি যদি বিটকয়েন দিয়ে কোন পণ্য ক্রয় করতে চান তাহলে বিক্রেতার বিটকয়েন অ্যাড্রেস এ নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পাঠিয়ে দিলেই তারা আপনাকে পণ্য পাঠিয়ে দেবে।
বিটকয়েনের মাধ্যমে আপনি ইচ্ছামত লেনদেন করতে পারবেন।

#বিটকয়েন কীভাবে আর্ন করতে হয়?

বিটকয়েন সম্পর্কিত কিছু কিছু এককের ধারণায়-
1 MBTC = 1000000 BTC
1 uBTC = 0.00000 BTC
1 mBTC = 0.001 BTC
1 satoshi = 0.00000001 BTC

বিটকয়েন আর্ন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিটকয়েন এড্রেস এর অধিকারী হতে হবে।আপনার বিটকয়েন রাখার জন্য অবশ্যই আপনার একটা বিটকয়েন ওয়ালেট লাগবে। বিটকয়েন ওয়ালেট আপনি কয়েনবেস থেকে পেতে পারেন। ওয়ালেট এর জন্য এখনই #Coinbase #Xapo#Wirexx #Blockchain -এ গিয়ে আপনার ই-মেইল এড্রেস, পাসওয়ার্ড দিয়ে একটা একউন্ট খুলে নিন।

বিটকয়েন পাওয়ার জন্য জন্য অবশ্যই আপনাকে যে সকলসাইট থেকে বিটকয়েন আর্ন করা সম্ভব সেগুলো থেকে একটা একাউন্ট করে নিতে হবে।নোটঃ মনে রাখবেন, প্রত্যেকটি সাইটের জন্য আলাদা একটা করে এড্রেস তৈরী করবেন। তা না হলে বিপদে পড়বেন।

এবার আসা যাক বিটকয়েন আর্ন করার পদ্ধতিতেঃ

বিটকয়েন আর্ন করার কয়েকটি পদ্ধতির মধ্যে সবচেয়ে বেশী ব্যাবহৃত হয় মনে হয় মাইনিং আর কল।
তবে পিটিসি এবং ট্রেডিং এর মাধ্যমেও আর্ন করা যায়।
তবে সবচে সহজলভ্য হলো কল করা।শুধুমাত্র ক্যাপচা পূরণ করেই বিটকয়েন আর্ন করা সম্ভব। তবে আপনি বাজি বা জুয়া খেলে আপনার বিটকয়েন বাড়াতে পারেন।

তবে বাজি বা জুয়া ধরা আমার মতে ঠিক না, এতে করে আপনি আপনার কষ্টার্জিত কয়েন হারাতে পারেন।
মাইনিং এ আপনার নির্দিষ্ট একটি বিটকয়েনের অংশ আপনাকে ইউজ করতে হবে। বর্তমানে এটি অনেক হার্ড একটি প্রসেস বিটকয়েন আর্ন করার জন্য।

আরদ্বিতীয় টি হল সবচেয়ে সহজলভ্য উপায় যা বর্তমানে আমাদের মত ইউজার কেবিনামুল্যে বিটকয়েন আর্ন করার সুযোগ দেয়। তবে এটি কতদিন থাকবে তা বলামুশকিল।

এইবার আসি কিভাবে ফ্রীতে বিটকয়েন আয় করবেন। বিটকয়েন ফ্রীতে আয় করার জন্য প্রায় ২০০০ এর উপর সাইট রয়েছে। যারা তাদের ওয়েবসাইটএ ভিসিট করে কেপচা পূরণ করার জন্য বিটকয়েন প্রদান করে থাকে। এটা সাধারণত ১০০-১০০০০০ সাতোশি প্রদান করে থাকে। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন যে বিটকয়েনের একক সাতোশি নামে পরিচিত। একটি ওয়েবসাইট এ কেপচা পূরণ করে অল্প কিছু আয় করা যায়। আর তাই যত বেশি ওয়েবসাইট এ কাজ করবেন আয় তত বাড়বে।

বিট কয়েন ইনভেস্টমেন্ট সাইট কি?

বিট কয়েন ইনভেস্টমেন্ট সাইট হলো বিট কয়েন আয় বৃদ্ধি করার অন্যতম কৌশল। অর্থাত এখানে আপনাকে যে কোন পরিমান বিট কয়েন জমা রাখতে হবে যেখানে ঐ সকল সাইট গুলো নিদিষ্ট পরিমান পার ডে হিসাবে লভ্যাংশ দিবে। এই লাভের পরিমান প্রায় ০.৫% হইতে ৩.৫০% পর্যন্ত হতে পারে। এখানে এমন কিছু সাইট আছে যেখানে আপনি প্রতিদিনের লাভ প্রতিদিনে উইথড্র করতে পারবেন।

কত পরিমান বিট কয়েন ইনভেস্টমেন্ট করবেন?

আসলে যে সকল সাইটে এরুপ ধরা বাধা নিয়ম নাই সেখানে আপনি যে কোন পরিমাণ বিট কয়েন ডিপোজিত করতে পারবেন। তবে আমার পরামর্শ হল এখানে আপনি প্রতিবার ২ ডলার করে করে ডিপোজিত করতে পারেন। যাতে লাভের পরিমনটা উইথড্র করে পূনরায় ২ ডলার যোগ করতে পারেন। তবে যতবেশী ডিপোজিত করা যায় ততই লাভ। আমার মনে হয় অত লাভের হিসাব না করে মামুলি লাভ করাটাই ভাল। কথায় আছে না “অতি লোভে তাতিঁ নষ্ট!” সত্যিকার কথা বলতে কি আপনি আজকে যে ইনভেস্টমেন্ট সাইটে বিটিসি ইনভেস্ট করছেন সেটি যদি কোন কারনে তাদের সাইট বন্ধ করে দেই তাহলে যারা বেশী ডিপোজিত করেছেন তাদের কি হবে…!! সুতরাং বুঝতেই পারছেন প্রথমত ২/১ ডলার ডিপোজিত করাটাই বুদিধমানের কাজ। তারপরেও যারা বেশী ডিপোজিত রাখতে চাইবেন সেটি তাদের ব্যক্তিগত ব্যপার।

বিটিসি ইনভেস্টমেন্ট সাইটের কাজের সুবিধাবলী

এখানে একাউন্ট ওপেন/লগইন ব্যতিত তেমন কোন কাজ নাই বললেই চলে।তাছাড়া বিট কয়েন সাইটের মত ঘন্টা/মিনিটে ক্যাপচা পূরন করতে হয়না। তবে বিট কয়েন আয় বৃদ্ধি করতে হলে মূল সাইটের ক্যাপচা পূরন ব্যতিত কোন পন্থা নাই। এখানে যা ইনভেস্ট করবেন তার লাভ প্রতিদিনে/নিদিষ্ট সময়ে পাবেন, ফলে বিনাশ্রমে বিটকয়েন আয় আরেকটু বৃ্দ্ধি করতে পারছেন। তাছাড়া এখানে নিজের পকেটের কোন অর্থ খরচ করতে হচ্ছে না।

কিছু বিটিসি ইনভেস্টমেন্ট সাইটের সাথে পরিচয়

বিট কয়েন সাইটের যে রকম ভূয়া সাইট অাছে, ঠিক তেমনি ইনভেস্টমেন্ট সাইটও ভূয়া থাকে। তাই ভূইফোড় সাইট বাদ দিয়ে এলিট সাইটে কাজ করতে হবে। আমি বেশ কয়েকটি সাইটের ঠিকানা পেয়েছি এবং পরীক্ষা করে ফলাফল পেয়েছি। নিম্নে সাইট গুলোর ঠিকানা

হ্যা এর মধ্যে হয়ত অনেকেই বুঝতে পেরেছেন বিট কয়েন হতে অল্প কিছু হলেও সত্যিকারভাবে আয় করা যায়। কিন্তু এই আয় খুব মামুলি। আসলে বিট কয়েন আয় বৃদ্ধি করার বেশ কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে তাহলো-

১। নিয়মিতভাবে একটু হলেও সেই সব সাইটে কাজ করা করা যেমন প্রতিদিনে ২৪ ঘন্টার মধ্যে অন্তত ৭-৮ বার ক্যাপচা পূরন।

২। একটি বিট কয়েন সাইটের পাশাপাশি আরো কয়কেটি লিগ্যাল বিট কয়েন সাইটে কাজ করা।

৩। বিট কয়েন সাইটে ইনভেস্ট করা। থুক্কু ডোল্যান্সার কিংবা পিটিসি নই যে, আপনার পকেটের টাকা খরচ করতে হবে। এখানে আপনার বিট কয়েন আয়কে অন্য কোন সাইটে ইনভস্টে করবেন যেখানে প্রতিদিনে ১-২.৫ পর্যন্ত লাভ পাবেন। তবে এখানেও স্মরন রাখতে হবে বিট কয়েন সাইটের মত ইনভেস্ট সাইটিও বৈধ হতে হবে।

জ্ঞাতব্য বিষয়

অনেকেরই ব্লগে বিট কয়েন আয়ের প্রায় ডজনখানেক ঠিকানা শেয়ার করতে দেখছি। আমি নিজেও পরীক্ষা করে দেখেছি সেইগুলোর ২/১ টি ব্যতিত সবই ভূয়া। অবশ্য এখানো পর্যবেক্ষনে আছি। যাইহোক লিংক শেয়ার করতে দোষ নাই। কিন্তু ভূয়া ভাবে কাজ করে সবই হবে পন্ডশ্রম। তাই যে কোন সাইটে কাজ করার পূর্বে নিশ্চিত হওয়া কিংবা রিভিউ জেনে নেওয়া ভাল।

বিট কয়েন সাইট হতে বিটিসি ইনভেস্ট করে বিট-কয়েন আয় বৃদ্ধি করুন

উপরের পয়েন্ট অনুযায়ী এটিও একটি অন্যতম পদ্ধতি। মানে আপনি যে বিট কয়েন আয় করছেন সেই বিট কয়েন আয়ের কিছু অংশ বিট কয়েন সাইটে ইনভেস্ট করে আয়কে আরেকটু ধাপে বৃদ্ধি করতে পারবেন। বিট কয়েন আয়ে ইনভেস্টের প্রায় অনেক গুলো সাইট রয়েছে। তবে সকল সাইটের সুবিধা সমান নই, কম-বেশী অসুবিধা আছে।

আমি প্রায় ৩ মাস যাবত বেশ কয়েকটি সাইট পর্যবেক্ষণ করে এমন একটি সাইট পেয়েছি যেখানে আপনি যে কোন পরিমান বিট কয়েন ইনভেস্ট করতে পারবেন। এই সাইটটি খুব অল্প সময়েই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। কোন ফেক সাইচ নই ১০০% লিগ্যাল।

বিট কয়েন সাইটের যে রকম ভূয়া সাইট অাছে, ঠিক তেমনি ইনভেস্টমেন্ট সাইটও ভূয়া থাকে। তাই ভূইফোড় সাইট বাদ দিয়ে এলিট সাইটে কাজ করতে হবে।

ভালো থাকবেন! আর জানতে থাকুন আমার সাথে!

লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছে এখানে! Image may be NSFW.
Clik here to view.
🙂


Viewing all articles
Browse latest Browse all 3243

Trending Articles