শুধু একটা বাচ্চার মা-বাবা হয়েই বাচ্চার প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য শেষ হয়ে যায়না। পিতা-মাতা হিসেবে বাচ্চার খাওয়া-দাওয়া, চিকিৎসা এবং পোশাক-আশাক সবদিকেই খেয়াল রাখতে হয়। সামলাতে হয় অনেক কিছুই। এবং ধীরে ধীরে বাচ্চার বয়সের বৃদ্ধির সাথে সাথে পরিবর্তন ঘটে অনেক কিছুর। বয়স ভেদে খাবার-দাবার এবং পোশাক-আশাকের ধরণেও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। পোশাক-আশাকের মধ্যে ডায়াপার অন্যতম। কারণ, বাচ্চার যত্নে ডায়াপার হচ্ছে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।
দিনের পরিবর্তনে যুগের আধুনিকতায় ডায়াপার-এর ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবং বাচ্চার যত্নে ডায়াপার অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বহন করে। বাচ্চার বয়স আড়াই থেকে তিন বছর পূর্ণ হওয়ার আগ-পর্যন্ত বাচ্চার জন্যে ডায়াপার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। শুধু বাইরে যাওয়ার সময় নয় বরং, ঘরে থাকলেও ডায়াপার ব্যবহার করা প্রয়োজন। আধুনিক সমাজে ডায়াপার ব্যবহার নিয়ে অনেক মা-বাবাই অনেক সচেতন। তাই, বাচ্চার যত্নে প্রত্যেক মা-বাবাই বাচ্চার জন্যে ডায়াপার ব্যবহার করতে পারেন।
সাইজ, ওজন, কোন দেশীয়, পরিমাণ ইত্যাদি দেখে ডায়াপার কিনতে পাওয়া যায়। কারণ, সব বাচ্চার ক্ষেত্রে একই ধরণের ডায়াপার প্রযোজ্য নয়। বয়স এবং ওজনভেদে ডায়াপার-এর ভিন্নতা রয়েছে। দোকান কিংবা অনলাইনেও রয়েছে ভালমানের ডায়াপার গুলো। সাইজ, ওজন এবং পরিমাণ দেখে ডায়াপার কিনতে ভিজিট করুণ এই লিঙ্কে।
তবে, বাচ্চার জন্য যে ব্র্যান্ডের ডায়াপারই ব্যবহার করুণ না কেন, খেয়াল রাখবেন, বাচ্চার ত্বকে সেটা কতটুকু প্রভাব ফেলছে। কারণ, নিম্নমানের কিছু ডায়াপার রয়েছে, যেগুলো কম শোষণ ক্ষমতাসম্পন্ন এবং বাচ্চার ত্বকে র্যাশ-এর সৃষ্টি করে। বাচ্চার জন্যে এমন একটি ডায়াপার ব্যবহার করবেন, যেটি অনেক আরামদায়ক এবং স্বস্তিকর হবে।
অনেক মা-বাবাই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বাচ্চার জন্যে ডায়াপার ব্যবহার করে থাকেন। কারণ, এমন অনেক ঘটনাই ঘটে থাকে যে, কোথাও বেড়াতে যাওয়ার সময় বাচ্চার প্রস্রাব পায়খানার সমস্যার সৃষ্টি হয়, এবং সেইসময় স্থান নির্বাচন করা কঠিন হয়ে যায়। তাই, ডায়াপার পরিয়ে রাখলে বাচ্চা ডায়াপারেই প্রস্রাব পায়খানা করবে এবং স্থান নির্বাচন করার মতো সমস্যা পোহাতে হবেনা।
তবে, ডায়াপার ব্যবহারের পর যেখানে সেখানে ফেলে দিবেন না। এটা জনসাস্থের জন্য হুমকিস্বরূপ। এতে করে পানি এবং বায়ু দূষিত করে এবং মানুষের শরীরে রোগ জীবাণুর আক্রমণ ঘটায়।
মনে রাখবেন, বাচ্চার প্রত্যেকটি বিষয়ের উপর বিশেষ নজর দেওয়া জরুরী। খাওয়া-দাওয়া, শিক্ষা ইত্যাদি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, বাচ্চার সাস্থের প্রতি নজর দেওয়াও তেমনি গুরুত্বপূর্ণ।