ডিজিটাল মার্কেটিং কী
সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ডিজিটাল মার্কেটিং হল ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য বা ব্র্যান্ডের প্রচারকে বোঝায়। ডিজিটাল মার্কেটিং সনাতন মার্কেটিং থেকে ভিন্ন কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং একটি প্রতিষ্ঠানকে রিয়েল টাইমে চ্যানেল ও বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে বিপণন প্রচারাভিযানের বিশ্লেষণ করতে এবং তা কাজ করছে কি করছে না তা বুঝতে সক্ষম করে।
ডিজিটাল বিপণন-কারীরা নিরীক্ষণ করে দেখে কি দেখা হচ্ছে, কতক্ষণ দেখা হচ্ছে, বিক্রয়ের পরিবর্তন, কোন বিষয়বস্তুগুলো কাজ করে এবং কোনগুলো করে না। ইন্টারনেট ডিজিটাল মার্কেটিং এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। এছাড়া অন্যান্য মাধ্যমগুলো যেমন: তারবিহীন টেক্সট মেসেজিং, মোবাইল ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড, ডিজিটাল টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেল ইত্যাদিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ধরন
ওয়েবসাইট
এস ই ও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন)
ইন্টারনেট ব্যানার অ্যাড
ইমেইল মার্কেটিং
ভিডিও মার্কেটিং
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (Facebook, Twitter, LinkedIn, etc.)
মোবাইল মার্কেটিং (SMS, MMS, etc.)
কেন ডিজিটাল মার্কেটিং জানা দরকার?
প্রথমত, ডিজিটাল মার্কেটিং প্রথাগত অফলাইন মার্কেটিং পদ্ধতির চেয়েও আরও বেশি সাশ্রয়ী হয়। ই – মেইল বা একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাড একটি টিভি – বিজ্ঞাপন বা সংবাদপত্র অ্যাড এর চেয়ে কম খরচ। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাড পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে বহু সংখ্যক সম্ভাব্য ক্রেতাদের কাছে পৌঁছতে পারে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রতিটি ধাপ ও পর্যায় আপনি পরিমাপ করতে পারেন। কোন ডিজিটাল মিডিয়া আপনার কতটা কাজে আসছে? কতজন প্রতিদিন অ্যাড হচ্ছে? কতজন লাইক দিচ্ছে? ওয়েবসাইটে কতজন প্রতিদিন ভিজিট করছে প্রতিটা কার্যক্রম পরিমাপযোগ্য, সংবাদপত্র বা টিভি বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। আপনার যদি ওয়েবে উপস্থিতি না থাকে, কিভাবে আপনি সম্ভাব্য গ্রাহকদের বা ক্রেতাদের আপনাকে খুঁজে পাবে বলে আশা করেন? ইন্টারনেটে চমৎকার কনটেন্ট, ভাল মানের প্রোডাক্ট গ্যালারী, চমৎকার প্রোডাক্ট রিভিউ থাকে তাহলে মানুষ আপনার ক্ষেত্রে আপনাকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে ধরে নেবে। আপনি যদি সামাজিক মিডিয়ার মাধ্যমে গ্রাহকদের এবং সম্ভাব্য গ্রাহকদের সাথে যুক্ত থাকেন, তাদের তাদের প্রশ্নের উত্তর দেন তাহলে,আপনি তাদের সঙ্গে বিশ্বাস গড়ে তুলতে পারবেন আর তখন তারা আপনার প্রতিযোগীদের (competitor) কাছে নয় আপনার কাছে আসবে। এখন মুল কথা হল, ব্র্যান্ড ম্যানেজার বা মার্কেটিং প্রফেশনাল হিসাবে মনেকরেন আপনার প্রতিযোগীরা আগে থেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল সম্পর্কে অবহিত যা তাদের ইতোমধ্যেই বেশ কিছু সুবিধা দিচ্ছে। যদি আপনার প্রতিযোগীরা ইতোমধ্যেই সফলভাবে ডিজিটাল মার্কেটিংকে ব্যাবহার করে থাকে, তাহলে তারা তাদের বর্তমান গ্রাহকদের সাথে সাথে সম্ভাব্য নতুন গ্রাহকদের সাথেও অনেক বেশি কার্যকর উপায়ে যোগাযোগ ও আরও আকর্ষণীয় উপায়ে নতুন গ্রাহকদের মন জয় করা জেনে নিয়েছে।এবং আপনি তা কেবল শুরু করতে যাচ্ছেন।
অনলাইন পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৯২% ভাগ ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানই যারা ব্লগিং করে তারা অনলাইনে নতুন গ্রাহক পায়, প্রায় প্রতিদিন। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রায় ১০০% বেশি লিড আসে অন্যান্য মার্কেটিং এর তুলনায়, প্রায় ৭৭% ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান তাদের নতুন গ্রাহক পায় ফেসবুক থেকে। মনে রাখবেন আপনার গ্রাহকরা বেশিরভাগ সময় আছেন অনলাইনে এবং এই সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, সুতরাং আপনি একজন ব্র্যান্ড ম্যানেজার বা মার্কেটিং প্রফেশনাল হয়ে তাদের খুঁজবেনও অনলাইনে। অনলাইন ডিজিটাল মার্কেটিংএ আপনাকে এমন নতুন কোন চমৎকার কৌশল ধরে রাখতে হবে, যা সর্বদা আপনাকে আপনার প্রতিযোগীদের থেকে এগিয়ে রাখবে।
কিভাবে শিখবেন ডিজিটাল মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং এ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ইন্টারনেট ব্যানার অ্যাড, ইমেইল মার্কেটিং, ভিডিও মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, মোবাইল মার্কেটিং ইত্যাদি বিষয় সমূহ অন্তর্ভুক্ত বলে এটি শেখা একটু জটিল। সুতরাং ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য আপনার ভাল মানের ডিজিটাল মার্কেটারের দ্বারস্থ হতে হবে।
বাংলাদেশে অনেক আউটসোর্সিং বা ফ্রীল্যান্সিং ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে মাত্র একটি এ এম ওয়েব ক্রিয়েশন। এটি গাজীপুরে অবস্থিত। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এ এম ওয়েব ক্রিয়েশন ভাল মানের ডিজিটাল মার্কেটিং ট্রেনিং সেন্টার।
তাছাড়া আপনি এই লিংকে ক্লিক করে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।