মোবাইল ফোন ছাড়া মানুষের এখন চলা কঠিন। দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় জিনিস গুলির মধ্যে স্মার্টফোন একটি। তাই স্মার্টফোন কেনার আগে অবশ্যই কিছু জিনিস দেখে নেয়া উচিত। বাজারে নতুন নতুন অনেক ফোন আসলেও সব ফোনের কনফিগারেশন যে ভাল বলা যায় না। সবাই ভাল কনফিগারেশনের ফোন পেতে চাইলে কিছু দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
যা হচ্ছেঃ
১.ফোনটির ডিসপ্লে কেমন। ফোনের ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে ফোনের ডিসপ্লের আকার ও রেজুলেশন ঠিক করতে হবে। যাঁরা ভিডিও স্ট্রিমিং, ছবি সম্পাদনা, ভিডিও বা মুভি ডাউনলোড করেন, তাঁরা অবশ্যই সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় ইঞ্চি ডিসপ্লের ফুল এইচডি বা কিউএইচডি ডিসপ্লের ফোন নেবেন। এর চেয়ে বড় মাপের ফোন নিলে বহন করতে সমস্যা হবে। যাঁরা সাধারণত ইন্টারনেট ব্রাউজিং, চ্যাটিং কিংবা ই-মেইল, ফেসবুক চালানোর মতো কাজে স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন, তাঁরা পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি মাপের এইচডি বা ফুল এইচডি ডিসপ্লের ফোন নিতে পারেন।
২.মোবাইল ফোনের প্রসেসর কি। যাঁরা স্মার্টফোনে ছবি বা ভিডিও সম্পাদনা, ডকুমেন্ট সম্পাদনা, ভারী গেম খেলা, ভিডিও স্ট্রিমিং ও স্ক্রিনে একাধিক অ্যাপ ব্যবহার করেন, তাঁরা কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন ৬৫২ বা স্ন্যাপড্রাগন ৮২০/৮২১ প্রসেসরের ফোন নিতে পারেন। এতে মাল্টিটাস্কিং-সুবিধা পাওয়া যায়। আর যাঁরা স্মার্টফোন হালকা কাজে ব্যবহার করেন, তাঁরা মিডিয়াটিক প্রসেসর ব্যবহার করতে পারেন।
৩.এখন যারা ফোন কিনে তারা ফোনের ক্যামেরার দিকে একটু বেশি নজর দেয়। তাই ফোনের ক্যামেরা কত মেগা পিক্সেল এর দেখে নেয়া ভাল।
৪.এখনকার স্মার্টফোন কেনার আগে অপারেটিং সিস্টেমের সংস্করণ ও ইউজার ইন্টারফেসের বিষয়টি বিবেচনায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু ইউজার ইন্টাফেস ব্যবহার করে বারবার কাজ করা হয়, তাই এটি যত সহজ ও সাধারণ হয় ততই ভালো। নিখুঁত অ্যান্ড্রয়েডের অভিজ্ঞতা পেতে মটোরোলা, নেক্সাস/পিক্সেল, অ্যান্ড্রয়েড ওয়ানচালিত ডিভাইসগুলো ব্যবহার করা যায়। এ ছাড়া জেনইউআই, এক্সপেরিয়া ইউআই, স্যামসাং টাচউইজ, ইএমইউআইয়ের মতো ইন্টারফেসগুলোও ব্যবহারবান্ধব।